চাঁপাই এক্সপ্রেস নিউজ ডেস্ক: চাঁপাইনবাবগঞ্জের অবৈধ ও অনিবন্ধিত ভুয়া এনজিও মধুমতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থায় থাকা ৩৫ হাজার গ্রাহকের জামানতের ১০৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের অন্যতম মূলহোতা ফারুক হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুইটি মামলায় হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আমলী আদালত সদর ও শিবগঞ্জে দুইটি প্রতারণার মামলায় আত্মসমর্পণ করেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মধুমতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থার ম্যানেজার (ক্রয়) ও মধুমতি ফ্যাক্টরির পরিচালক মো. ফারুক হোসেন (৩৯)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক দিলীপ কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফারুক হোসেনের নামে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে আদালতে দুইটি মামলা চলমান রয়েছে। এমনকি তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে, তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
জানা যায়, অনিবন্ধিত ও অবৈধ এনজিও মধুমতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থা প্রায় ৩৫ হাজার গ্রাহকের ১০৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এই প্রচারক চক্রের অন্যতম মূলহোতা মধুমতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ রানার ভাই ফারুক হোসেন। পুলিশ দুটি মামলায় তাকে দীর্ঘদিন ধরে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করলেও গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে ছিলেন ফারুক। পরে বৃহস্পতিবার নিজেই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
গত সোমবার (৮ মে) ১০৫ কোটি টাকা জামানত ফেরতের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে কয়েক হাজার গ্রাহক। এ সময় ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেন প্রতারণার শিকার কয়েক হাজার গ্রাহক ও এনজিও কর্মীরা। দাবি আদায় না হলে আমরণ অনশন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাকে অচল করে দেওয়ার হুশিয়ারি দেন তারা।
ওইদিন বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারীরা। পরে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা প্রতারক চক্রের সকল সদস্যকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে অবস্থান কর্মসূচি ও সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
Leave a Reply