সুলতানি স্থাপত্যের রত্ন ছোট সোনা মসজিদ – চাঁপাই এক্সপ্রেস.কম
  1. chapaiexpress24@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. arifinridoy70@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং
ইয়াবাসহ ডিবি চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাতে গ্রেপ্তার এক যুবক শাহ্ নেয়ামতুল্লাহ্ কলেজ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি’র পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব বসতি দিবস উদযাপন  শিবগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে ২জন ছিনতাইকারী গ্রেফতার শাহ্ নেয়ামতুল্লাহ্ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন গোমস্তাপুরে নদী থেকে অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে কিশোর গ্যাং গ্রুপ গাঁজাসহ গ্রেফতার চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উদযাপন নাচোলে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত গোমস্তাপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মবার্ষিকী পালন

সুলতানি স্থাপত্যের রত্ন ছোট সোনা মসজিদ

  • আপডেটের সময় : শনিবার, ৮ জুলাই, ২০২৩

চাঁপাই এক্সপ্রেস ডেস্ক : ছোট সোনা মসজিদ বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। ৫০০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষী এই মসজিদ। প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড় নগরীর উপকণ্ঠে পিরোজপুর গ্রামে এ স্থাপনাটি নির্মিত হয়েছিল, যা বর্তমানে বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার অধীনে পড়েছে।

মধ্যযুগের সুলতানি আমলের গৌড়নগরীর এক ঐতিহাসিক স্থাপনা এই ছোট সোনা মসজিদ। মসজিদটিকে বলা হতো গৌড়ের রত্ন। মসজিদের বাইরের দিকে সোনালি রঙের আস্তরণ ছিল। সূর্যের আলো পড়লেই তা সোনার মতো ঝলমল করে উঠতো।

এজন্যই এর নাম হয়ে যায় সোনা মসজিদ। তবে অযত্নে সোনা মসজিদের সেই সোনালি রং এখন আর নেই। এখন তামাটে রঙে পরিণত হয়েছে। মসজিদটি ইট দিয়ে তৈরি। তার ওপর পাথরের একটি স্তর বসানো আছে।

মসজিদের বাইরের দৈর্ঘ্য ৮২ ফুট, প্রস্থ সাড়ে ৫২ ফুট; ভেতরের দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট ৪ ইঞ্চি, প্রস্থ ৪০ ফুট ৯ ইঞ্চি। উচ্চতা প্রায় ২০ ফুট।

মধ্যবর্তী তিনটি নামাজের স্থানে খিলান করা চার খণ্ড ছাদ তৈরি করে মাঝখানে এনে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার দুপাশের প্রতি অংশে আছে ছয়টি করে গোলাকার গম্বুজ। এই বারোটির পাশাপাশি চৌচালা গম্বুজ আছে তিনটি।

মাঝখানে অবস্থিত এই চৌচালা গম্বুজগুলোর ভেতরের দিকে গোলাপ ফুলের মতো কারুকার্য করা। মসজিদের চারদিকে চারটি স্তম্ভ রয়েছে। এগুলোর ভূমি অষ্টকোনাকৃতির।

স্তম্ভ গুলোতে ধাপে ধাপে বলয়ের কাজ আছে। স্তম্ভ গুলোর উচ্চতা ছাদের কার্নিশ পর্যন্ত। মসজিদের সামনে পাঁচটি এবং ডানে ও বাঁয়ে দুই পাশে তিনটি করে দরজা রয়েছে।

প্রতিটি দরজারই কিনারায় আছে বেশ চওড়া করে খোদাই করা কারুকাজ। তবে তা খুব গভীর নয়, দূর থেকে বোঝা যায় না। দরজার পাশের দেয়ালগুলোতেও খোদাই করা কারুকাজ রয়েছে।

মসজিদের প্রবেশপথের পাথরের তোরণটিও সুদৃশ্য কারুকার্যময়। এই তোরণের সামনেই রয়েছে সেই আমলের সারি সারি কবর। সবই বাঁধানো।

দুটি কবর বড় কালো পাথর দিয়ে বাঁধানো। এরপরেই মসজিদের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে চোখে পড়বে আমবাগান। ১৮৯৭ সালে ভূমিকম্পে মসজিদের তিনটি গম্বুজ ও পশ্চিম পাশের দেয়ালের কিছু অংশ বিধ্বস্ত হয়।

১৯০০ সালে ব্রিটিশ সরকার গম্বুজ ও দেয়ালটি সংস্কার করে। তবে পশ্চিম পাশের ইটের দেয়ালের বাইরের বেশিরভাগ অংশে পাথর স্থাপন করা হয়নি।

ছোট সোনা মসজিদ প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধের দুই বীর সন্তানের কবর। মসজিদের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে সীমানাপ্রাচীরের ভেতরেই বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ও মুক্তিযুদ্ধে ৭ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক মুক্তিযোদ্ধা মেজর নাজমুল হকের কবর ছোট সোনা মসজিদ সুলতানি স্থাপত্যের রত্ন বলেও আখ্যাত।

শিলালিপিতে নির্মাণের সঠিক তারিখ মুছে গেছে। তবে এতে সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ এর নামের উল্লেখ থেকে এটা সুস্পষ্ট যে, মসজিদটি তার রাজত্বকালের (১৪৯৪-১৫১৯) কোন এক সময় নির্মিত।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
স্বত্ব ©২০২২-২০২৩ চাঁপাই এক্সপ্রেস ডটকম
Theme Customized By Raytahost