নিজস্ব প্রতিবেদক : চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নামোশংকরবাটি দক্ষিণচরাগ্রাম এলাকায় উচ্চ আদালত থেকে রায় পাওয়া জমিতে নির্মাণ করা দোকান ঘর রাতের আঁধারে বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করে দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। নামোশংকরবাটির আব্দুল হান্নান নামের এক ব্যবসায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন, মামলায় হেরে যাবার পর একই এলাকার ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম ওরফে টি ইসলাম তার লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে নির্মাণ করা দু’টি দোকান ঘর ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের একটি হোটেলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে আব্দুল হান্নানের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার বড় ভাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র সাইদুর রহমান। সাংবাদিক সম্মেলনে আব্দুল হান্নান বলেন, ‘দক্ষিণচরাগ্রাম এলাকার আমাদের নিজস্ব জমির পাশে কেনা জমি নিয়ে জনৈক এসরাইল হকের সঙ্গে মামলা চলছিল। মামলা চলাবস্থায় ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম ওরফে টি ইসলাম ওই মাটিটি কিনে নেন। প্রেক্ষিতে তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সহকারি জজ আদালতে মামলা করলে আদালত আমার পক্ষে রায় দেন। পরে তরিকুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জজ আদালতে আপিল করলে আদালত নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে। প্রেক্ষিতে আমি উচ্চ আদালতে আপিল করে জয় লাভ করি’।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, এরপর তরিকুল ইসলাম সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে সুপ্রিম কোর্ট তার পক্ষে রায় দিয়ে গত ১২ জুন আদালত তাকে জমির দখল বুঝিয়ে দেয়। এখনও দখল প্রদানের জায়গায় লাল পতাকা টাঙ্গানো আছে।
তিনি অভিযোগ করেন, আদালত থেকে দখল পাওয়া জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ শুরু করা হলে তরিকুল ইসলাম নানান ধরণের হুমকী প্রদান শুরু করে এবং ১ আগস্ট দিবাগত গভীর রাতে তার লাঠিয়াল বাহিনীকে দিয়ে বুলডোজার নিয়ে দোকান ঘর দু’টি ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘লাঠিয়াল বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছে তরিকুল ইসলামের ছেলে। যা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে আছে’।
এ ঘটনায় তারা আবারও আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছেন বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে তরিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আমরা রিভিউ আপিল করেছি যা বিচারাধীন রয়েছে। তারা (সাইদুর-হান্নানরা) ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আমাদের উপর দোকানঘর ভাঙ্গার অভিযোগ আনছেন’।
Leave a Reply