রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানার বদলির খবর এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। বদলির খবরে এলাকায় বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাতে স্থানীয় সাধারণ মানুষের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে দুর্গাপুর উপজেলার ইউএনও সোহেল রানাকে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলায় বদলি ও যোগাদান করতে। তার পরিবর্তে এ উপজেলায় ইউএনও হিসেবে আব্দুল করিমকে পদায়ন করা হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রমতে, টাকার বিনিময়ে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করার লিখিত অনুমতি দিতেন দুর্গাপুরের ইউএনও সোহেল রানা। সরকার যেখানে ফসলি জমিতে পুকুর খননে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেখানে বিঘাপ্রতি মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে পুকুর খননের অনুমতি দিতেন তিনি। শুধু তাই নয়- অবৈধ পুকুর থেকে বিভিন্ন স্থানে মাটি বহনের জন্য লিখিত এবং মৌখিক অনুমতি দিতেন। আর এ কারণে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার সরকারি গ্রামীণ রাস্তাগুলো।
এছাড়াও জলমহল লিজ সংক্রান্ত ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণেও নানান অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। জেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় দুর্গাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দাবি জানান রাজশাহী প্রেস ক্লাবের সভাপতি। এমনকি তার বিরুদ্ধে রাজশাহীতে মানববন্ধনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য বলেন, দুর্গাপুর উপজেলাতে যোগদানের পর থেকেই নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন ইউএনও সোহেল রানা। বিশেষ করে তিনি কৃষিতে অবৈধভাবে পুকুর খননের নামে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্য করেছেন। আমি নিজেই একজন ভুক্তভোগী। তার বদলির খবর শুনে এলাকাবাসী অনেক খুশি।
Leave a Reply