ডেস্ক নিউজ : পাবনার ঈশ্বরদীতে ভাষা শিক্ষা কেন্দ্রে ডেকে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে নাহিয়ান ইসলাম নাহিদ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার।
এর আগে ২৯ আগস্ট বিকেলে উপজেলা সদরের শেরশাহ রোড এমবিশন কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা কেন্দ্রে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আটক ব্যক্তি, উপজেলার পূর্বটেংরী ঈদগাহ রোডের শাহনেওয়াজ ইসলাম হিরোজের ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের মশুড়িয়া পাড়ার জনৈক ব্যক্তির সঙ্গে ভুক্তভোগীর ছয় বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ভুক্তভোগী তার ছেলেকে পড়ানোর জন্য পূর্ব পরিচিত নাহিয়ান ইসলাম নাহিদকে গৃহ শিক্ষক খুঁজে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
২৯ আগস্ট বিকেলে নাহিদ মোবাইল ফোনে ছেলেকে পড়ানোর বিষয়ে আলোচনার করার কথা বলে ওই গৃহবধূকে তার ভাষা শিক্ষা কেন্দ্রে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ডেকে নেন।
পরে গৃহবধূ প্রতিষ্ঠানের যান এবং কক্ষে প্রবেশের পর দরজা বন্ধ করে নাহিদসহ তার দুই সহযোগী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর তাকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
বাড়ি ফিরে মা ও স্বামীকে ঘটনা খুলে বলেন তিনি। এরপর গত বৃহস্পতিবার রাতে নারীর স্বামী ঈশ্বরদী থানায় মামলা করেন।
ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, গৃহবধূকে তিনজন মিলে ধর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে তার স্বামী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী নাহিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অভিযুক্ত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
জানতে চাইলে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। সে এখনো হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
Leave a Reply