নিজস্ব প্রতিবেদক : গতকাল ১৫ই ডিসেম্বর রাতে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আটক হওয়ার বিষয়ে চাঁপাই এক্সপ্রেস নিউজের সাথে কথা বলেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম-আহবায়ক তানভীর আশিক আটকের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি চাঁপাই এক্সপ্রেস নিউজ কে বলেন, আজকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু সংখ্যক ছাত্রলীগ ও আ.লীগ কর্মীরা উঠেপড়ে লেগেছে পুরো ছাত্র সমাজ কে বিতর্কিত করার জন্য।
গত দুইদিন যাবত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এরিয়াতে বহিরাগতদের আগমন ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনের অভিযান চলছিল। যেটা আমি জানতাম না। গত দুইদিন আগে আমি আমার পরিবারের সাথে ঢাকায় আসি। এবং আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশের আন্দোলনের সহযোদ্ধা ভাই ও বোনদের সাথে দেখা করার উদ্দেশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যায়।
আমার ভেতরে প্রবেশ করার কিছুক্ষণ পরেই বহিরাগতদের ঠেকাতে ও মাদকসেবিদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়। আমি ঢাবির কেউ না হওয়ায় দূরভাগ্যবশত আমাকে অভিযানে ধরে। এই ঘটনা আমাদের দেশের জাতীয় কিছু মিডিয়ায় লাইভ সম্প্রচার করা হয় যেখানে আমাকেও দেখা গিয়েছে। সেসব লাইভ কে কেন্দ্র করে আ.লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের মিডিয়া সেল থেকে পুরো ছাত্র সমাজকে বিতর্কিত করতে আমাকে নিয়ে বানোয়াট সব তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াচ্ছে যা ইতোমধ্যে আমার নজরে এসেছে। তবে আমার কাছে কোন প্রকার মাদকদ্রব্য পায়নি অভিযানকারীরা। এবং আমি কখনও কোন প্রকার মাদকদ্রব্য সেবন করিনি। পরর্বতীতে ঢাবির গেট থেকে বের হওয়ার আগেই মাজিস্ট্রেট সবার জবানবন্দি নেয় যা আপনারা হয়তো দেখেছেন সেসব লাইভে।
যাদের মাদকসেবন করার সময় ধরা হয় এবং মাদকসহ ধরা হয় তাদেরকে আটক করে নিয়ে যায়। আমি আমার পরিচয় ও ঢাবিতে ঢোকার কারন জানালে আমাকে তৎক্ষণাৎ ছেড়ে দেওয়া হয়।
তানভীর আশিক আরও বলেন, আমি আমার সহযোদ্ধা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের জানাতে চায় আমি এখন বাসায় অবস্থান করছি। তবে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের মিডিয়া সেল থেকে মিথ্যা, বানোয়াট ও পুরো ছাত্র সমাজকে বিতর্কিত করতে যে প্রোপাগাণ্ডার ছড়ানোর হচ্ছে তার উচিত জবাব রাজপথেই দেওয়া হবে।
চাঁপাই এক্সপ্রেস/এআ
Leave a Reply