রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজের তিনদিন পর সরিষাক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার মহিমান্বিত রজনী শবেবরাত অপারেশন ডেভিল হান্টে রাজশাহীতে গ্রেপ্তার ২১ চাঁপাইনবাবগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে টি-টেন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন চাঁপাইনবাবগঞ্জে জনসম্মুখে কৃষি ঋণ বিতরণ আরামবাগ নাইট মিনি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন মামুন সাইকেল স্টোর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারের মাঝে জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় বিআরটি এর চেক বিতরণ আজ থেকে সারা দেশে শুরু ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অত কথা বলতে হবে না, ঘুষ নেওয়ার সময় পল্লীবিদ্যুৎ কর্মকর্তা বিএসএফের নির্যাতনে আটক বাংলাদেশীর মৃত্যু, ক্যাম্পে পড়ে আছে লাশ

নাচোলে জয় বাংলা স্লোগানের জন্য নয় বাগবিতণ্ডার জেরে হত্যা হয় দুইজন

  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫

নাচোল থেকে : চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলোচিত মাসুদ রানা ও রায়হান আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহিন রেজাসহ (২২) দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।

আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম। এসময় পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, শাহীন একাই ফল কাটার ছুরি দিয়ে দুইজনকে হত্যা ও চারজনকে জখম করেন। শাহীন আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার হওয়া প্রধান আসামি শাহিন রেজা মল্লিকপুরের তোফজুল হকের ছেলে। এছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছেন মামলার ৭ নম্বর আসামি আব্দুস সামাদ (৩০)। তিনি মল্লিকপুরের আতাউর রহমানের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার রাতে ঢাকার সাভার থেকে প্রধান আসামি শাহিন রেজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনই ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে গ্রেপ্তার হন আসামি সামাদ আলী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহীন আকন্দ ও এসআই ফয়সাল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে শাহিনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি জব্দ করা হয়।

পুলিশ সুপার রেজাউল করীম জানান, ঘটনার দিন একটি অনুষ্ঠানে শাহিনের ভাতিজার সঙ্গে হতাহতদের তর্কাতর্কি হয়। এর জের ধরে শাহিন ঘটনাস্থলে যান এবং বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে তাঁর কাছে থাকা ফল কাটার একটি ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকেন। এতে দুইজন নিহত ও চারজন আহত হন।

তবে একজন ব্যক্তি সাধারণ একটি ছুরি দিয়ে কীভাবে দুইজনকে হত্যা ও চারজনকে জখম করল- এমন প্রশ্নের জবাবে রেজাউল করীম বলেন, ‘বিষয়টি আমরাও তদন্ত করে দেখছি। গ্রেপ্তার হওয়া আসামি যা বলেছেন আমরা আপাতত সেটাই আপনাদের জানালাম।’

হতাহতের ঘটনাটিকে আবারও অরাজনৈতিক উল্লেখ করে পুলিশ সুপার জানান, একটি পক্ষ এটিকে রাজনৈতিক রূপ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হতাহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে জোরালো ভূমিকা রাখায় সেটি ব্যর্থ হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি শাহীন শনিবার ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল ইসলাম তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মল্লিকপুরে ছুরিকাঘাতে মারা যান একই উপজেলার খোলসী গ্রামের এজাবুল হকের ছেলে মাসুদ রানা ও চাঁদপাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে রায়হান আলী। ওই ঘটনায় আহত হন আরও চারজন। নিহতদের ছাত্রলীগের নেতা দাবি করে রাতেই আওয়ামী লীগের ফেসবুক ভেরিফাইড পেজে দাবি করা হয়, ‘জয় বাংলা স্লোগান’ লেখার কারণে হত্যা করা হয়েছে তাদের।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকগুলো ফটোকার্ড ও ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে দেশব্যাপী আলোচিত হয় এ হত্যাকাণ্ড। ওই ঘটনায় ১৮ ডিসেম্বর মাসুদ রানার বাবা বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

চাঁপাই এক্সপ্রেস/ওকেএ

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
স্বত্ব ©2022-2025 চাঁপাই এক্সপ্রেস
Design By Raytahost
raytahost14