শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০৫:১১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং
নাচোলে ডোবা থেকে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাকে মারধর করায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা করলো স্বজনরা গোমস্তাপুরে ছেলে নিখোঁজ ১৩ দিন হলেও এখনো মিলেনি খোঁজ বাবা মায়ের আর্তনাদ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ক্রমাগত বাড়ছে ডায়রিয়া গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৫৯ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রকট আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু নতুন আক্রান্ত ২৩ জন জুলাই পদযাত্রায় অংশ নিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আসছেন এনসিপি নেতারা শেখ হাসিনার প্রতি সুর বদলাচ্ছে ভারতীয় মিডিয়া রাজশাহীসহ সব বিভাগে টানা ৫ দিন বৃষ্টির আভাস দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কমপ্লিট শাটডাউন বন্ধ সকল কার্যক্রম

অত কথা বলতে হবে না, ঘুষ নেওয়ার সময় পল্লীবিদ্যুৎ কর্মকর্তা

  • আপডেটের সময় : শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

নাচোল থেকে : চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের ওয়্যারিং পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনের ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে MRtv নামক একটি ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয় ৪ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি।

ভিডিওতে দেখা যায়, পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন তার অফিস কক্ষে বসে একজন স্থানীয় বিদ্যুৎ মিস্ত্রী মিজানুর রহমানকে একটি ফাইল দেখিয়ে বলছেন, এই বাণিজ্যিক ফাইলটার কি করলা? উত্তরে মিজানুর রহমান বলছেন, স্যার ১৫শ টাকা নেন। পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন তার কাছ থেকে ১৫শ টাকা ঘুষ গ্রহণ করে পকেটে ঢুকান। এ সময় মিজানুর রহমান পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনের উদ্দেশে বলেন, আমরা যা পাই সবাই মিলেমিশে খাই স্যার, তখন উত্তরে পল্লী বিদ্যুতের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন বলেন, অত কথা বলতে হবে না।

মিজানুর রহমান বলেন, এই ভিডিওটি কখন করা হয়েছে তা আমি জানি না। এ ছাড়া আমি একজন ওয়্যারিং মিস্ত্রি। বাসাবাড়িতে কাজ করে পারিশ্রমিক নিই। মিটারের আবেদন করার জন্য পল্লি বিদ্যুৎ অফিস থেকে লাইসেন্স থাকা লাগে। কিন্তু আমি ওয়ারিংয়ের কাজ জানলেও আমার লাইসেন্স নাই। তাই যাদের লাইসেন্স আছে তাদেরকে দিয়ে বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করি। এ ছাড়া বিদ্যুৎ মিটার নেওয়ার জন্য অফিসে ঘুষ দিতে হয়। আমি পাঁচ টাকা নিলে তাদেরকে দুই টাকা দিই। এজন্য বলেছি আমরা সবাই মিলেমিশে খাই।

পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের ওয়্যারিং পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভিডিও ফেক। আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য ছড়িয়ে দিয়েছে। ভিডিওতে যিনি টাকা দিচ্ছেন তিনি আমাকে বলেছিলেন আমার বাবা অসুস্থ। আমার বিদ্যুতের মিটার সরকারি ফি বাবদ টাকা জমা করে দিয়েন। তাই আমি মানবতার খাতিরে তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাচোল জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আব্দুর রহিম বলেন, ওয়্যারিং পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আমাদের জিএম স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন ভুক্তভোগী। পরে আমরা তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। রোববার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে এবং তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাঁপাই এক্সপ্রেস/ঢাকা পোস্ট

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
স্বত্ব ©2022-2025 চাঁপাই এক্সপ্রেস
Design By Raytahost
raytahost14